আপনার পছন্দের পণ্যটি সিলেক্ট করুন।
অর্ডার করতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
আমাদের খেজুর কেন খাবেন
খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সব থেকে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ খেজুর যদি কোল্ড স্টোরে রাখা হয় এক বছরের পুরাতন হয় দুই বছরের পুরাতন হয় কিংবা অনেক পুরাতন হয় সে ক্ষেত্রে আপনি খেজুর থেকে ভাল উপকারিতা পাবেন না কিংবা খেজুরের সেই পুষ্টিগুণ পাবেন না কারণ দীর্ঘ সময় কোল্ড স্টোরে থাকার কারণে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। খেজুরের আর একটা বিশেষ সমস্যা দীর্ঘ সময় খেজুর থাকলে সেই খেজুরে পোকা হয়ে । এজন্যই আপনাকে বলছি আপনি সাতক্ষীরা মধু ভান্ডার থেকে নিতে পারেন কারণ সাতক্ষীরার মধু ভান্ডার আপনাদেরকে টাটকা এবছর ইমপোর্ট করা এবং একদম সতেজ কেমিক্যাল মুক্ত খেজুর আপনাদেরকে দিচ্ছি। একটা কথা মাথায় রাখবেন সামান্য কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে নিজের শরীরকে ক্ষতির মুখে ফেলবেন না হুমকির মুখে ফেলবেন না। আজ আপনি যে টাকা বাঁচিয়ে নিজের কাছে রাখছেন সেটাকে হয়তো আগামীকাল ডাক্তারের কাছে চলে যাবে। নিঃসন্দেহে থাকতে পারেন আমাদের কাছ থেকে কেমিক্যাল মুক্ত এ বছরের ইমপোর্ট করা এবং সম্পূর্ণ পোকামুক্ত খেজুর পাবেন ইনশাআল্লাহ।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। খেজুরের পুষ্টিগুণ সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর। আয়রনে ভরপুর খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন। অন্তত দুটি খেজুর যদি প্রতিদিন খান তবে অনেক রোগ কাছেও ঘেঁষবে না। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে।
খেজুর খেলে কি কি পাওয়া যায়
স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকার করে খেজুর। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে থাকবে ভরপুর এনার্জি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। তুলনামূলকভাবে যেসব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
মস্তিষ্কের উপকারে খেজুর
খেজুরের সব চেয়ে বড় গুণ হলো এই ফলটি মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু ফলটি।
ওজন নিয়ন্ত্রণ এ খেজুর
ওজন কমানোর জন্য খেজুর খুবই কার্যকরী। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়ায়। আমরা যখন নিয়ন্ত্রণে খাই তখন ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খেজুরের ৪ টি উপকারিতা
১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। ২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। ৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী
খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য দারুণ উপকারী। খেজুরে থাকা আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। গর্ভবতী নারীরা সহজেই ১-২টি খেজুর খেতে পারেন।
ত্বককের যত্নে খেজুর
অনেক সময় বয়স বাড়ার ফলে মুখের চামড়া কুঁচকে যায়। খেজুরে ভিটামিন বি রয়েছে, যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর নিয়ম করে খেলে দেখবেন আস্তে আস্তে দাগ মিলিয়ে যাবে।
হার্টের সমস্যায় খেজুর
যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। কেননা খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সক্ষম করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে হার্টের সমস্যায় কিছু দিনের মধ্যে উপকার পাবেন। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাশি দূর করতে খেজুর এর ব্যবহার
যাদের খুসখুসে কাশি হয় তারা ১/২টি খেজুর এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুরসহ পানিটুকু খেতে হবে। এতে খুসখুসে কাশি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপকার মিলবে।
চুলের যত্নে খেজুর
অনেক সময়ে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। চুলের মধ্যে একটা রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব দেখা যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাওয়া শুরু করুন খেজুর। কারণ খেজুরের মধ্যে যে তেল থাকে তা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এটি চুলের দারুণ উপকার করে। এ ছাড়া চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করে খেজুর।
কাশি দূর করতে খেজুর এর ব্যবহার
যাদের খুসখুসে কাশি হয় তারা ১/২টি খেজুর এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুরসহ পানিটুকু খেতে হবে। এতে খুসখুসে কাশি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপকার মিলবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।
খেজুরের বিশেষ কয়েকটি উপকারিতা
১/যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়। ২/কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য। ৩/খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ৪/খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।