আপনার পছন্দের পণ্যটি সিলেক্ট করুন।
অর্ডার করতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
আমাদের মধু কেন নিবেন
আমরা সুন্দরবনের গহীন থেকে এবং মাঠ পর্যায়ে থেকে সংগ্রহ করে তারপর আপনাদের কাছে মধু সরবরাহ করি। সুতরাং এখানে ভেজাল করার মত মাঝখানে কোন মাধ্যম নাই। কারণ সাতক্ষীরা মধুভাণ্ডার অচেনা অ যাচাইকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে অ যাচাইকৃত মধু কিনে তারপর আপনাদের কাছে সাপ্লাই দেয় না। নিঃসন্দেহে পছন্দ করতে পারেন আমাদের পণ্য। আমরা আপনাদের ওয়াদা দিয়েছি ইনশাআল্লাহ ভেজাল পন্য দিবনা।আর ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের লক্ষণ। সুতরাং কথা কাজে মিল পাবেন ইনশাআল্লাহ। ⁉ভেজাল দেইনা হারাম খাইনা ⁉
সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য:
খলিশা ফুলের মধু বেশি দিন রাখলে লাল বর্ণের হয়ে যায়। এই মধু কিছুটা হালকা হয়ে থাকে কিন্তু খুবই সুস্বাদু টকটক মিষ্টি। এই মধু ফ্রিজে রাখলেও কখনো জমাট বাধেঁ না। এটার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো একটু ঝাঁকুনি দিলে ফেনা হয় যায়। অনেকের কাছে এই মধু আখের রসের মতো লাগে।
খলিশা ফুলের মধুর উপকারিতা
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সূরা “নাহল” নাজিল করেছেন যার বাংলা অর্থ হলো “মধু”। এই সূরার মাধ্যমে মধু উপকারিতা সম্পর্কে এবং মধু সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। হজমের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সেবন করুন। পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধুর ৭ টি বৈশিষ্ট্যঃ
দেখতে সাধারণত Light Amber রঙের হয় (তবে সময় ও ফুল ভেদে কিছুটা Light বা Dark হতে পারে)। খেতে খুবই সুস্বাদু, হালকা টকটক মিষ্টি লাগে। কিছু মানুষের কাছে- সুন্দরবনের মধু অনেকটা আখের রসের মতো লাগে। মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হবে (আমরা কখনই সুন্দরবনে ঘন মধু পাইনি)। সুন্দরবনের মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- একটু ঝাঁকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়ে যাবে। সুন্দরবনের খাটি মধু আমরা কখনই জমতে দেখনি। হোক সেটা ফ্রিজের ভেতরে বা বাইরে। এই মধুর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- হাতে চাক কাটা পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা মধুর উপরে হলুদ রঙের পোলেন জমা হয়। এটাকে অনেকে গাদ জমা বলে থাকেন।
খলিশা ফুলের মধু চেনার উপায়
সুন্দরবনকে মধুর রাজ্য বলা হয়। আমাদের দেশের মত মধুর চাহিদার কমপক্ষে ৮০% পূর্ণ হয় সুন্দরবনের মধু দিয়ে। সাধারণত এই বনে নানা ধরনের ফুল ফোটে যা থেকে দেশের সব থেকে উৎকৃষ্ট মানের মধু হয়। যাইহোক, আমরা সুন্দরবনের মধু বলতে সাধারণত মিশ্র মধুকে বুঝে থাকি। অর্থাৎ সুন্দরবনের মধুতে পশুর, কেওড়া বাইন ও খলিশা ইত্যাদি ফুলের মধু মিশ্রিত থাকে। তবে এই মিশ্র মধুর ভিড়ে সুন্দরবন থেকে দেশের সব থেকে বেশি দামি এবং সুস্বাদু খলিশা ফুলের মধু পাওয়া যায়। বনবিভাগের মতে প্রতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে সুন্দরবনে প্রায় সকল গাছে মুকুল আসে। কিন্তু সেই সময় সবার প্রথমে খলিশা ফুল ফোটে। অন্যান্য গাছে মুলুক থাকলেও সেগুলোতে দেরিতে ফুল ফোটে। সাধারণত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেই সময় দলে দলে মৌমাছি চাক তৈরি করে তাতে খলিশা ফুলের মধু সংগ্রহ করে। খলিশা ফুল দেখতে উজ্জ্বল সাদা বর্ণের। এই ভুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি থেকে অনেক সুন্দর মিষ্টি গন্ধ আসে। এই জন্য খলিশা ফুলের মধু দেখতে পাতলা সাদা বর্ণের হয় এবং তা থেকে অনেক সুন্দর মিষ্টি গন্ধ আসে। সুন্দরবনে খলিশা ফুলের মধু সংগ্রহ শুরু হয় পহেলা এপ্রিল থেকে যা পুরো দুই মাস ব্যাপী চলে। এই সময় মৌয়ালরা দল বেঁধে বনের ভেতরে যায় এবং যে যা পারে সে অনুপাতে মধু সংগ্রহ করে। খলিশা ফুলের মধু এত বেশি দামি হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে এর উৎপাদন খুব সীমিত পরিমাণে হয়। অর্থাৎ মিশ্র ফুলের মধুর থেকে এর চাক খুব কম হয় যে কারণে দামের দিক দিয়ে এটি অনেক উপরে। তাছাড়া এই মধু অনেক বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে। উচ্চ পরিমাণে মিষ্টি স্বাদ এবং স্বল্প জোগানের সাথে খলিশা ফুলের মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে এই ফুলের উপকারিতাগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কেন সুন্দরবনের মধু সেরা?
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু হলো বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট মধু। কারণ বাংলাদেশের একমাত্র সুন্দরবনেই শতভাগ অর্গানিক মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবন মানব সৃষ্ট বন নয় এবং সুন্দরবনের কোন গাছে কোন কীটনাশক বা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয় না। এই ম্যানগ্রোভ বনে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই গাছপালা গুলো বেড়ে ওঠে। এবং বুনো মৌমাছির দল এসকল গাছের ফুল থেকে পুস্পরস সংগ্রহ করে তাদের মৌচাকে মধু হিসেবে জমা করে। এজন্য সুন্দরবনের চাকের মধু শতভাগ অর্গানিক এবং গুনে-মানে সবচেয়ে সেরা
খলিশা ফুলের মধু কীভাবে খাবেন?
মধু খাওয়ার সব থেকে উৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে খালি পেটে। সাধারণত প্রতিদিন সকালে এবং ঘুমানোর ঠিক এক বা দুই ঘণ্টা আগে মধু খাওয়া উত্তম। এছাড়া রুটির সাথে অথবা শরবত বানিয়ে যে কোন সময় তা খাওয়া যেতে পারে। সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু যে কোনো সময় খাওয়া যায়। তবে অবশ্যই পরিমাণ মত এবং গরম পানি ব্যতীত খেতে হবে। নিচে আরও কি কি উপাদানের সাথে এই মধু খাওয়া যায় তা দেওয়া হলো। চিনির বিকল্প হিসেবে খলিশা ফুলের মধু খাওয়া যায়। শরবতের সাথে এই মধু খাওয়া যায়। রুটি অথবা পিঠার সাথে এই মধু খাওয়া যেতে পারে। জেলি হিসেবে খাও যাবে। ঔষধ হিসেবে সেবন করা যায় উপরে বর্ণিত পদ্ধতি বাদেও আরও অনেক ভাবেই এই মধু খাওয়া যায়। তবে সর্বোচ্চ পরিমাণ ফলাফল ও উপকারিতা পেটে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া উত্তম।
কেন আমাদের সাতক্ষীরা মধু ভাণ্ডারের মধু নিবেন?
সুন্দরবনে সাধারণত দুই ধরনের মধু পাওয়া যায়, যথা:- সুন্দরবনের বাক্সের মধু এবং সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু। আমাদের কাছে দুটি মধুই আছে তবে এটি হচ্ছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু। প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালরা বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে। সুন্দরবনের মধুতে খলিসা ও গরান ফুলের নির্যাস বেশি থাকে। এই মধু পাতলা এবং সুস্বাদু হয়। এছাড়াও, আমাদের মধু নিজস্ব মৌয়াল দ্বারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই আপনি নিরাপদে আমাদের মধু খেতে পারেন। সুন্দরবনের মধু হল উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন এবং আসল ফুডের খাদ্য আইটেমগুলির মধ্যে একটি, যা আপনাকে সর্বোচ্চ গুণগতমান এবং বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। সুন্দরবনের মধু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য মহান স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং প্রাকৃতিক নিরাময়মূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে কারণ মধুতে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে।
Raw Honey এবং Processing Honey কাকে বলে?
মৌমাছি যে মধু তৈরি করে মৌচাকে জমা করে, সেই মধুই হচ্ছে কাঁচা মধু বা ‘র হানি’। সেটা গ্রাম গঞ্জের হাতে চাক কাটা মধু হোক বা বাক্সের ভেতরে পোষা মৌমাছি দিয়ে উৎপাদিত মধু হোক। এই দুই প্রকার মৌমাছিই যদি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, তাহলে এই দুই প্রকার মধুই ভালো মধু, খাঁটি মধু। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত মধু বা Processing Honey। কাঁচা মধু এবং প্রক্রিয়াজাত মধু , এই দুই মধুর মধ্যে স্পষ্ট অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রক্রিয়াজাত করা হয় মধু গরম করার মাধ্যমে। আর মধু গরম করলে মধুর অনেক উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের Raw Honey বা কাঁচা মধু খাওয়ার জন্য।
সুন্দরবনের মধু কখন এবং কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?
ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের মধু উৎপাদনের সময় সাধারণত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে জুন মাস পর্যন্ত। এই সময়ে সুন্দরবনে অনেক প্রকার ফুল ফুটতে দেখা যায়। প্রকৃতিতে অনেক প্রকার ফুল থাকলেও মৌমাছি প্রধান চারটি ফুল থেকে উল্লেখযোগ্য মধু সংগ্রহ করে। আর তাহলো- খলিশা, গড়ান, কেওড়া ও বাইন। মৌমাছি এই সময়ে সুন্দরবন থেকে যে মধু সংগ্রহ করে, আমরা তাকেই সুন্দরবনের মধু বলে থাকি।
সুন্দরবনের RAW মধু তে কেন ফেনা হয়?
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক Raw মধুতে সব সময়ই ঝাঁকি লাগলে ফেনা হতে দেখা যায় ও সম্পূর্ণ মধু সাদা রঙের হয়ে যেতে পারে। যা দেখে একজন সাধারণ মধু ক্রেতা, মধু খাঁটি হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন। কিন্তু এই সন্দেহ টি একেবারেই সঠিক নয়। নিচে তার Scientific ব্যাখ্যা দেওয়া হলঃ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক Raw মধুতে অ্যাক্টিভ এনজাইম, প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এবং মধু একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ যাতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে। আর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ- কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এ জন্য সুন্দরবনের প্রাকৃতিক Raw মধুতে যেহেতু সব সময়ই ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি থাকে, অর্থাৎ মধুর ঘনত্ব খুবই কম হয় বা মধু পাতলা হয়। যার ফলে মধু একটু ঝাঁকি লাগলে বা পাকেজিং করার সময় মধুর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি করে। এতে মধুর মধ্যে বায়ু বুদবুদ সৃষ্টি হয় এবং একই সাথে মধু ফেনা হয়ে সাদা হয়ে যায় ও পাত্রের ভেতরে গ্যাস হয়ে যায়, তাই প্ল্যাস্টিক এর বোতল কিছুটা ফুলে যেতে দেখা যায়। মধুতে ফেনা তৈরি হলে সেটাকে কিছুক্ষণ স্থিরভাবে একই যায়গায় রেখে দিলে আবার সেই ফেনা মধুতে পরিণত হবে। এতে মধুতে কোন প্রকার ক্ষতি বা সমস্যা হবে না।
সুন্দরবনের মধু পাতলা হবার কারনঃ
সুন্দরবনের ভেতরে ছোটবড় অনেক খাল থাকায় এবং সমূদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এখানকার পরিবেশে আদ্রতার পরিমান অনেক বেশি হওয়ায় মধুর উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে বিধায় সুন্দরবনের মধু অনেক পাতলা হয়। পরিশেষে একটা কথা বলা দরকার, তা হল মধু পাতলা হোক আর ঘন হোক তাতে কোন সমস্যা নাই। মধুর গুনাগুন সব ঠিক থাকে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার জ্ঞানে যা ছিলো তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। অবিজ্ঞ জনেরা যদি আমার এই কনটেন্ট এর মধ্যে কোনো ভুল খুঁজে পান তাহলে অবশ্যই জানাবেন দয়া করে। আপনার ছাত্র হতে পারলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো।